Central Govt Scheme : কেন্দ্রে নরেন্দ্রামদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক নতুন নতুন জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প জনসাধারণের জন্য, বিশেষ করে সমাজে পিছিয়ে পরা মানুষের জন্য চালুকরেছে। তেমনি কিছু জনকল্যান মূলক প্রকল্প নিয়ে নিচে স-বিস্তারে আলোচনা করা হলো।
পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা : কৃষকদের উন্নয়নের স্বার্থে 24 February 2019 সালে, প্রথমবার সরকারে এসে প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের কৃষকদের বাৎসরিক ৬ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিবছর কৃষকদের উন্নয়নের জন্য মোট তিনটি কিস্তির মাধ্যমে যথাক্রমে ২০০০ টাকা করে কৃষকদরে কৃষি উন্নয়নের জন্য আর্থিক সহায়তা করে থাকে কেন্দ্র সরকার।
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য (PM-kisan) : কৃষিকাজ গোটা ভারতের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ন্য অংশ হিসাবে পালন করে .কৃষকেরা ভারতের অর্থনৈতিক গঠনে মূল কান্ডারি। গোটা দেশে গ্রামীণ ও শহর অঞ্চলে যে আর্থিক ও সামাজিক বৈষম্যর কারণে গোটা দেশের কৃষকরা আর্থিক সমৃদ্ধি সচলতার জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছে। এই সমস্যা প্রতিনিয়ত ভারতের গ্রামীণ কৃষকদের উপর আর্থিক ও সামাজিক ভাবে প্রভাব বিস্তার করে, কেন্দ্র সরকার কৃষকদরে এই সমস্যা গুলির জন্য বিভিন্ন প্রকার জনকল্যাণ মুলুক প্রকল্প চালু করেছে।
এখনো পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় গ্রাম অঞ্চলের 11 কোটি কৃষক পরিবার কৃষি উন্নয়নের জন্য আর্থিক সহযোগিতায় লাভবান হয়েছেন। সূত্র অনুযায়ী জানা যাচ্ছে যে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তার প্রাক-বাজেট বৈঠকের অংশ হিসাবে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের সাথে দেখা করেছেন। বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে তারা PM-KISAN কিস্তি বার্ষিক 6,000 টাকা থেকে 8,000 টাকা বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছে।
কিভাবে (pm-kisan) এই প্রকল্পে আবেদন করবেন
নিময়লিখিত প্রক্রিয়া মাধ্যমে কৃষকেরা প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার আবেদন আবেদন করতে পারে-
- প্রথমে আপনাকে pmkisan.gov.in ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
- এরপর আপনার হোমপেজে “নিউ ফার্মার রেজিস্ট্রেশন” লিঙ্কে ক্লিক করুন।
- নতুন কষক নিবন্ধন” চয়ন করুন।
- গ্রামীণ ও শহুরে কৃষক নিবন্ধন নির্বাচন করুন।
- আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় ডেটা গুলো পূরণ করুন, যেমন নাম, মোবাইল নম্বর এবং আধার নম্বর।
- ওটিপি প্রদান করুন, আধার প্রমাণীকরণ সম্পূর্ণ করুন এবং আধার অনুযায়ী জমি ও ব্যাঙ্কের বিবরণ লিখুন।
- একবার আবেদন যাচাই করা হলে সরাসরি কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আর্থিক সাহায্য বিতরণ করা হবে।
পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা স্ট্যাটাস চেক করুন
নিময়লিখিত প্রক্রিয়া মাধ্যমে কৃষকরা তাদের প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনার আবেদনের স্ট্যাটাস পরীক্ষা করতে পারেন-
- প্রথমে আপনি অফিসিয়াল pmkisan.gov.in ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
- হোমপেজে “বেনিফিসিয়ারি স্ট্যাটাস” লিঙ্কে ক্লিক করুন।
- .আধার নম্বর বা অ্যাকাউন্ট নম্বর লিখুন।
- আবেদন প্রক্রিয়ার স্ট্যাটাস পরীক্ষা করতে “গেট ডেটা” অপশন বোতামে ক্লিক করতে হবে।
পিএম কিষাণ প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
স্কিমের নাম | পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা |
কাদের জন্য চালু করা হয়েছে | কৃষকদরে জন্য |
শুরুর তারিখ | 24 February 2019 সালে |
বয়স সীমা | 18-40 বছর |
https://pmkisan.gov.in/ | সরকারী ওয়েবসাইট |
কারা (pm-kisan) এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য
পিএম কিষান সম্মান নিধি যোজনা জন্য কৃষকের অবশ্যই নিম্নলিখিত যোগ্যতা গুলি থাকতে হবে-
- আপনাকে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
- কৃষককে আবাদি জমির মালিক হতে হবে।
- কৃষকের বৈধ আধার কার্ড ও একটি বৈধ ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।
- জমির নথি আবেদনকারী কৃষকের নাম থাকতে হবে।
- কৃষকের বয়স ১৮ থেকে ৪০ এর মধ্যে হতে হবে।
(pm-kisan) এই প্রকল্প রিজেকশন কারণগুলি
এই সমস্ত কারণে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনার রিজেক্ট হতে পারে-
- ডুপ্লিকেট সুবিধাভোগীদের নাম।
- অসম্পূর্ণ কেওয়াইসি।
- ভুল IFSC কোড।
- বন্ধ, অবৈধ বা আনলিঙ্ক করা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।
FAQs :
A. প্রধানমন্ত্রী সম্মান নিধি যোজনা কবে দেওয়া হয়?
প্রধানমন্ত্রী সম্মান নীতি নিধি যোজনা বছরে তিনবার দেওয়া হয় অর্থাৎ দু হাজার টাকা করে তিন কিস্তিতে মোট ৬ হাজার টাকা কৃষকদের একাউন্টে দেওয়া হয়।
B. প্রধানমন্ত্রী সম্মান নিধি যোজনা আবেদন করার জন্য কি কি নথি দরকার?
- আধার কার্ড।
- নাগরিকত্বের প্রমাণ।
- জমির মালিকানা প্রমাণীকরণ দলিল।
- ব্যাংক একাউন্ট বিবরণ।
C. প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের সুবিধা কি?
- এই প্রকল্পে আবেদনকারী কৃষক ২০০০ টাকা করে মোট ৬ হাজার টাকা বাৎসরিক কৃষি কাজের জন্য কেন্দ্র সরকার প্রদান করে।
D. বিএম কৃষানের হেল্পলাইন নাম্বার কি?
- ১৫৫২৬১
- ০১১-২৪৩০০৬০৬১
প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা : কেন্দ্র সরকারের আরও একটি বহু প্রচলিত প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হলো প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা কেন্দ্র সরকার এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়। এই লোক শোধ করার জন্য থাকে নির্দিষ্ট সময়ে সীমা ও নির্দিষ্ট সুদের হার, লোন নেওয়ার জন্য লাগেনা কোন গ্যারান্টার। সারাদেশে ক্ষুদ্র শিল্প গুলোকে সাবলিং করার জন্য কেন্দ্র সরকারের এটি একটি বহু প্রচারিত প্রকল্প।
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য কি : প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা এই প্রকল্পটি আনা হয়েছে মূলত ছোট ও মাজারি ব্যবসায়ীদের কম সুদে লোন প্রদান করে তাদেরকে সাবলিং করে তোলা এবং ভারতবর্ষকে অর্থনীতিতে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এই প্রকল্পের আওতায় কম সুদে দীর্ঘমেয়াদি লোন প্রদান ও ছোট ও মাজারি ব্যাবসায়ীদের সাবলীল কারাই মূল লক্ষ্য।
এই প্রকল্পের সুবিধা : সুবিধাভোগীদের লোনের প্রয়োজনের ভিত্তিতে এই প্রকল্প তিনটি আওতায় বিভক্ত শিশু কিশোর ও তরুণ। শিশু উপভোক্তার জন্য লোনের পরিমাণ বরাদ্দ করা হয়েছে 50 হাজার টাকা, কিশোর উপভোক্তার জন্য লোনের পরিমাণ বরাদ্দ করা হয়েছে 50 থেকে 5 লক্ষ টাকা। এবং তরুণ উপভোক্তার জন্য লোনের পরিমাণ বরাদ্দ করা হয়েছে 5 লক্ষ থেকে 10 লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
প্রকল্পে ঋণ প্রদানকারী সংস্থা গুলির বিবরণ
- পাবলিক সেক্টর ব্যাংক।
- বেসরকারি খাতে ব্যাংক।
- রাষ্ট্রীয় পরিচালিত সমবায় ব্যাংক।
- আঞ্চলিক খাত থেকে গ্রামীণ ব্যাংক।
- মাইক্রো ফাইন্যান্স।
- নন ব্যাংকিং ফাইনান্স কোম্পানি।
- ক্ষুদ্র আর্থিক ব্যাংক সদস্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে মুদ্রা লিমিটেড দ্বারা অনুমোদিত অন্যান্য আর্থিক মধ্যস্থতাকারী।
সুদের হার
রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া নির্দেশিকা অনুসারে সদ্য ঋণদাতা দাতা সংস্থাগুলো সময়ে সময়ে সুদের হার ঘোষণা করে যার ভিত্তিতে প্রয়োজ্য সুদের হার নির্ধারণ করা হয়।
প্রকল্পের আবেদন প্রক্রিয়া
প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা আবেদন করার জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলির অবলম্বন করতে হবে-
প্রথম ধাপে পিএম মুদ্রা যোজনা (https://www.mudra.org.in) অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
মুদ্রা লোন অপশন এ ক্লিক করুন এবং আবেদন করুন। নিম্নলিখিত এর মধ্যে যেকোনো একটি অপশন চয়েস করুন নতুন উদ্যোক্তা/ বিদ্যমান উদ্যোক্তা/স্ব-নিযুক্ত পেশাদার। এরপর আবেদন করিম নাম মোবাইল নাম্বার আধার কার্ড ওটিপি তৈরি করুন এবং সেটি সফলভাবে সাবমিট করে দিন।
দ্বিতীয় ধাপে সফল নিবন্ধনের পরে ব্যক্তিগত বিবরণ এবং পেশাগত বিবরণ পূরণ করুন লোনের জন্য কোন নির্দিষ্ট এজেন্সির কাছ থেকে লোন বিবরণ প্রজেক্ট তৈরি করুন এবং সেটি সাবমিট করুন। অথবা লোন অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে গিয়ে আবেদন সম্পন্ন করুন এরপর প্রয়োজনীয় ঋণের বিভাগ চয়ন করুন যেমন শিশু ঋণ/ কিশোর ঋণ/ তরুণ ঋণ। এরপর আবেদনকারী কে ব্যবসায়ীর তত্ত্ব প্রদান করতে হবে ব্যবসায়ীর নাম ব্যবসায়ীর ধরন যেমন উৎপাদন/ বাণিজ্যিক/ পরিষেবা ইত্যাদি।
এরপর মালিকের বিবরণ বিদ্যমান ব্যাংকিং এর সুবিধা মত অন্যান্য তত্ত্ব গুলি পূরণ করুন। আবেদন করার সময় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস যুক্ত করুন যেমন আইডি প্রুফ এড্রেস প্রুফ আবেদনকারীর ছবি আবেদন কারীর স্বাক্ষর পরিচয় এর প্রমাণ বিজনেস ডিটেলস ইত্যাদি। একবার আবেদন সঠিকভাবে সম্পূর্ণ হলে একটি অ্যাপ্লিকেশন নম্বর তৈরি হবে যা ভবিষ্যতে রেফারেন্স হিসেবে প্রয়োজন পড়বে।
লোন এপ্লিকেশন এর জন্য আবেদনকারীর যোগ্যতা
- আবেদনকারীকে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপি হওয়া যাবে না এটি সন্তোষজনক ক্রেডিট ট্রাক রেকর্ড থাকতে হবে।
- প্রস্তাবিত কার্যকলাপ করার জন্য পৃথক রোহিতার প্রয়োজনীয় দক্ষতা অভিজ্ঞতা জ্ঞান থাকতে হবে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজনীয়তা যদি থাকে প্রস্তাব বিগত কার্যকলাপের প্রকৃতি এবং প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হবে।
মুদ্রা লোন প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
স্কিমের নাম | পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা |
কাদের জন্য চালু করা হয়েছে | কৃষকদরে জন্য |
শুরুর তারিখ | April 8, 2015 |
বয়স সীমা | 18 বছর এবং সর্বোচ্চ 65 বছর |
সরকারী ওয়েবসাইট | https://www.mudra.org.in/ |
প্রকল্পে আবেদনের নথিপত্র
শিশু ঋণের জন্য : (1) পরিচয় এর প্রমাণ ভোটার আইডি কার্ড/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ প্যান কার্ড/ আধার কার্ড /পাসপোর্ট /সরকার কর্তৃক জারি করা ফটো আইডি গুলো ইত্যাদি।
(2) ব্যবসায়ের প্রমাণ সাম্প্রতিক টেলিফোন/ বিদ্যুৎ বিল/ সম্পত্তি করে রশিদ দুই মাসের বেশি পুরনো নয়/ ভোটার আইডি কার্ড /আধার কার্ড ব্যক্তিগত পাসপোর্ট ইত্যাদি।আবেদনকারীর সাম্প্রতিক রঙ্গিন ছবি দুই কপি ( ছয় মাসের পুরনো নয়) ব্যবসায় এন্টারপ্রাইজ এর পরিচয় ঠিকানার প্রমাণ/ ব্যবসার লাইসেন্স মালিকানা সম্পর্কিত অন্যান্য নথি /ব্যবসায়িক ইউনিট ঠিকানা পরিচয়।
কিশোর ও তরুণ ঋণের জন্য: (1) পরিচয় এর প্রমাণ ভোটার আইডি কার্ড/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ প্যান কার্ড/ আধার কার্ড /পাসপোর্ট /সরকার কর্তৃক জারি করা ফটো আইডি গুলো ইত্যাদি।
(2) ব্যবসায়ের প্রমাণ সাম্প্রতিক টেলিফোন/ বিদ্যুৎ বিল/ সম্পত্তি করে রশিদ দুই মাসের বেশি পুরনো নয়/ ভোটার আইডি কার্ড /আধার কার্ড ব্যক্তিগত পাসপোর্ট ইত্যাদি।আবেদনকারীর সাম্প্রতিক রঙ্গিন ছবি দুই কপি ( ছয় মাসের পুরনো নয়) ব্যবসায় এন্টারপ্রাইজ এর পরিচয় ঠিকানার প্রমাণ/ ব্যবসার লাইসেন্স মালিকানা সম্পর্কিত অন্যান্য নথি /ব্যবসায়িক ইউনিট ঠিকানা পরিচয়।
(3) একাউন্টে বিবৃতি গত ছয় মাসের জন্য বিদ্যমান ব্যাংকের কাছ থেকে যদি থাকে/আয়কর ইত্যাদি সহ দুই বছর ব্যালেন্স সিট ২ লক্ষ এবং তার বেশি থেকে সমস্ত ক্ষেত্রে প্রয়োজন, আবেদন জমা দেওয়া তারিখ পর্যন্ত চলতি আর্থিক বছরে অর্জিত বিক্রি/ প্রজেক্ট রিপোর্ট তৃতীয় পক্ষের গ্যারান্টি অনুপস্থিতিতে পরিচালক এবং অংশীদার সহ ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিবরণ চাওয়া যেতে পারে।
FAQs :
(a)খাদি কার্যকলাপ কি মুদ্রা যোজনা ঋণের অধীনে যোগ্য ?
- হ্যাঁ মুদ্রার ঋণ যে কোন ক্রিয়া কলামের জন্য প্রযোজ্য যার ফলে আয় বৃদ্ধি পায়।
(b) সিএনজি টেম্পু /টেক্সি কেনার জন্য কি মুদ্রা লোন পাওয়া যায়?
- হ্যাঁ মুদ্রা ঋণ পাওয়া যাবে যদি আবেদনকারী বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে গাড়িটি ব্যবহার করতে চান।
(c) মুদ্রা লোনের জন্য কি আগের দুই বছরের জন্য আয় করে রিটার্ন জমা দিতে হবে?
- সাধারণত আইটি রিটার্ন ছোট মূল্যের ঋণের জন্য প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু 10 লাখের উপর ঋণের হলে সেক্ষেত্রে ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এর কাছে আইটি রিটার্ন নথি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান পরামর্শ দিবে।
তথ্য এবং সূত্র – আরো বিশদ জানতে এই অফিশিয়ালি ওয়েবসাইটে (https://www.mudra.org.in) ভিজিট করুন।
ই-শ্রম কার্ড : ই-শ্রম কার্ড কেন্দ্র সরকারের আরেকটি নতুন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় কেন্দ্র সরকার অসংগঠিত ক্ষেত্রে নিযুক্ত শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানের জন্য ই-শ্রম যোজনা শুরু করেছে। কেন্দ্র সরকার দেশের সমস্ত অসংগঠনিক কর্মীদের তথ্য সংগ্রহ করতে এবং তাদের সরকারি প্রকল্পের সুবিধা প্রদানের জন্যই এই শ্রম প্রকল্প শুরু করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত একজন ব্যক্তি একটি ই শ্রমিক কাঠের জন্য আবেদন করতে পারে।
ই-শ্রম কার্ড কি : ই-শ্রম কার্ড হলো একটি কেন্দ্র সরকারের বহু প্রচলিত জনকল্যাণমূলক প্রকল্প। অস্থায়ী কর্মীদের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রকল্প শুধু আবেদনকারীর তথ্য সংগ্রহের জন্য নয়, সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প এবং সুবিধা গুলি পাইয়ে দেওয়ার জন্য গঠিত। যেমন 60 বছরের পরে পেনশন, মৃত্যু বীমা, অক্ষমতার ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা ইত্যাদি।
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য কি ?
কেন্দ্র সরকারের ই-শ্রম প্রকল্পের উদ্দেশ্য গুলি হল-
নির্মাণ শ্রমিক, অভিবাসী শ্রমিক, রাস্তার বিক্রেতা, গৃহকর্মী, কৃষি কর্মী, ইত্যাদি সহ সমস্ত অসংগঠিত কর্মীদের (UWs) একটি কেন্দ্রীভূত ডাটাবেজ তৈরি করা। অসংগঠিত কর্মীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা পরিষেবাগুলির বাস্তবায়ন দক্ষতা উন্নত করা ও অভিবাসী ও নির্মাণ শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ সুবিধার বহনযোগ্যতা।
নিবন্ধিত অসংগঠিত শ্রমিকদের বিষয়ে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার, যেমন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের মন্ত্রক/বিভাগ/বোর্ড/এজেন্সি/সংগঠনগুলির মাধ্যমে তাদের দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণমূলক প্রকল্পের বিতরণের জন্য তথ্য ভাগ করা।
ভবিষ্যতে কোভিড-১৯-এর মতো যেকোনো জাতীয় সংকট মোকাবেলার জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলির একটি বিস্তৃত ডাটাবেজ সরবরাহ করা।
ই-শ্রম কার্ডের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
স্কিমের নাম | ই-শ্রম কার্ড |
দ্বারা চালু করা হয়েছে | শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় |
শুরুর তারিখ | আগস্ট 2021 |
সুবিধাভোগী | অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা |
পেনশন সুবিধা | প্রতি মাসে 3,000 টাকা |
বীমা সুবিধা | আংশিক প্রতিবন্ধীদের জন্য 2 লক্ষ টাকার মৃত্যু বীমা |
বয়স সীমা | 16-59 বছর |
সরকারী ওয়েবসাইট | |
হেল্পলাইন নম্বর | 14434 |
ই-শ্রম কার্ডের সুবিধা গুলো কী কী ?
কেন্দ্র সরকারের একটি ই-শ্রম কার্ড অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের বিভিন্ন সুবিধাগুলি প্রদান করবে যেমন-
ই-শ্রম কার্ডের আবেদনকারী মারা গেলে, তার স্ত্রীকে প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়।
ই-শ্রম কার্ডের আবেদনকারীরা 60 বছর বয়সে পৌঁছানোর পর প্রতি মাসে 3000 টাকা পেনশন।
সুবিধাভোগীরা একটি 12-সংখ্যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাবেন, যা সারা ভারতে বৈধ।
2,00,000 টাকার একটি মৃত্যু বীমা এবং 1,00,000 টাকার আর্থিক সাহায্য যদি কর্মী আংশিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়।
কারা কারা এই প্রকল্পের জন্য (ই-শ্রম) আবেদন করতে পারে ?
16 থেকে 59 বছর বয়সী যেকোন অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী, যেমন শ্রমিক এবং দৈনিক মজুরি উপার্জনকারী, ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারে।
ই-শ্রম কার্ডের জন্য কি নথিগুলি লাগবে ?
- আধার কার্ড।
- ব্যাংক পাসবুক।
- আধার কার্ডের সাথে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর।
ই-শ্রম কার্ড রেজিস্ট্রেশন
ই-শ্রম কার্ডের আবেদন কমন সার্ভিস সেন্টার (সিএসসি) বা ই-শ্রম পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন জমা দেওয়া যেতে পারে। যারা যোগ্য তারা ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করার জন্য নিকটতম কমন সার্ভিস সেন্টার (সিএস) সিকেন্দ্রে গিয়ে ই-শ্রম পোর্টাল মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন।
ই-শ্রম প্রকল্পের আবেদন করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলির আবেদন করতে হবে-
- প্রথমে আপনাকে ই শ্রম কার্ডের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে ভিজিট (https://eshram.gov.in/) করতে হবে।
- আবেদনকারীর আধার লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর, ক্যাপচা কোড ইনপুট করুন এবং ‘ওটিপি সেন্ড’ অপশনে ক্লিক করুন।
- আবেদনকারীর মোবাইল ফোনে ওটিপি প্রাপ্ত হলে otp বসিয়ে সাবমিট করুন।
- আবেদনকারীর বিবরণ স্ক্রিনে প্রদর্শিত হলে তা সঠিকভাবে যাচাই করে নেবেন।
- আবেদনকারীর ঠিকানা শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করুন।
- আবেদনকারীর দক্ষতার নাম নির্বাচন করুন এবং কাজের ধরন উল্লেখ করুন।
- আবেদনকারীর ব্যাংকের বিবরণ যুক্ত করুন এবং সেলফ ডিক্লারেশন নির্বাচন করুন।
- আবেদনকারীর সমস্ত প্রকার তত্ত্ব সঠিকভাবে দেখে নিয়ে তারপর সাবমিট করে দিন।
- এরপর আবেদনকারীর আধার লিঙ্ক মোবাইল নম্বরে আরো একটি নতুন ওটিপি প্রাপ্ত হবে ওটিপি টি সঠিকভাবে প্রদান করে সাবমিট করুন।
- এরপর আবেদনকারীর ই-শ্রম কার্ড ডাউনলোড করে নিন।
FAQs :
ই-শ্রম কার্ডের ইউ এন নাম্বার কি ?
- সরকার থেকে জারি করা ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর (UAN) ই-শ্রম কার্ডের সাথে যুক্ত, শ্রমিক যোজনা একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি।
আমি কি একটি ই-শ্রম কার্ড ডাউনলোড করতে পারি ?
- আগে থেকে আবেদনকারী ব্যক্তি ই-শ্রম অফিশালি ওয়েবসাইটে ভিজিট (https://eshram.gov.in/) করে তার নিজস্ব ই-শ্রম কার্ড ডাউনলোড করতে পারেন।
আমি কি ই-শ্রম কার্ডের জন্য যোগ্য ?
- 16 থেকে 59 বছর বয়সী যেকোন অসংগঠিত কাজের কর্মী ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন।
এই প্রকল্পের হেল্পলাইন নাম্বার ?
- হেল্পলাইন নং 14434 (টোল ফ্রি) (সোম থেকে শনিবার সকাল 8:00 থেকে সন্ধ্যা 6.00 পর্যন্ত এবং রবিবার সকাল 9.30 থেকে 6.00 সন্ধ্যা পর্যন্ত ) হিন্দি, ইংরেজি, তামিল, বাংলা, কন্নড়, মালায়লাম, মারাঠি, ওড়িয়া, তেলেগু এবং অসমীয়া ভাষায় উপলব্ধ।
প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা (PMUY) : কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সরকারে আরো একটি সফলতম প্রকল্পের মধ্যে উজালা যোজনা। এই প্রকল্পের সূচনা করেন 1লা মে, 2016-এ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায় চালু করেছিলেন। এই প্রকল্পের আওতায় বিপিএল পরিবার গুলিকে ১৬০০ টাকায় এলপিজি গ্যাস সংযোগ সরবাহ করা।
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য (PMUY) : এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল পরিষ্কার রান্নার জ্বালানি এলপিজি সরবরাহ করে মহিলাদের এবং শিশুদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা করা, যাতে তাদের ধূমপান রান্নাঘরে তাদের স্বাস্থ্যের সাথে আপস করতে না হয়। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার মহিলারা রান্নার কাট সংগ্রহ করার জন্য অনিরাপদ স্থানে যায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, তাদের এই সমস্যা সমাধানের জন্য এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
এই প্রকল্পের সুবিধা (PMUY) : এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৬০০ টাকায় বিপিএল পরিবার গুলি গ্যাস সংযোগ পাচ্ছে তার ফলে পরিষ্কার রান্নার জ্বালানি মহিলাদের এবং শিশুদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা কোনো রখম আপস করতে হচ্ছে না।
করা প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা (PMUY) সুবিধা পাবেন ?
এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো সুস্বাস্থ্য ও বায়ু দূষণহীন রান্না করা। এই প্রকল্পের আওতায় বিপিএল যুক্ত পরিবার গুলি ১৬০০ টাকার মূল্যে নতুন এলপিজি সংযোগ দেওয়া। দেশে দরিদ্র সীমায় নিচে বসবাসকারী পরিবারগুলি যাতে স্বল্পমূল্যে এলপিজি কানেকশন নিতে পারে তার জন্য এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে।
এই প্রকল্পে আবেদনের যোগ্যতা (PMUY)
এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে, হবে আবেদনকারী মহিলার বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে, এবং যেসমস্ত বিপিএল বাড়িতে এখনো পর্যন্ত এলপিজি কানেকশন নেই তারা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারে।
উজলা যোজনা প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
স্কিমের নাম | উজ্জ্বলা যোজনা |
কাদের জন্য চালু করা হয়েছে | বিপিএল ভক্ত মহিলাদের জন্য |
শুরুর তারিখ | April 8, 2015 |
বয়স সীমা | 18 বছরের বেশি বয়সী |
সরকারী ওয়েবসাইট | https://www.pmuy.gov.in/ |
এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি
অঞ্চল বা পৌরসভা থেকে আনা বিপিএল সার্টিফিকেট, কাস্ট সার্টিফিকেট, পরিচয়ের প্রমাণপত্র, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, ঠিকানার প্রমাণপত্র, বিপিএল রেশন কার্ড, পরিবারের সকল সদস্যের আধার কার্ড নম্বর, মোবাইল নাম্বার,ব্যাংকের পাসবুক।
কিভাবে উজ্জ্বলা যোজনা (PMUY) আবেদন করা যায়
এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীকে এলপিজি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটর এর কাছ থেকে আবেদন পত্র সংগ্রহ করতে হবে অথবা উজ্জ্বলা যোজনার অফিশিয়ালি ওয়েবসাইট (www.pmuy.gov.in) থেকে আবেদন পত্র ডাউনলোড করে, সেটি পূরণ করে লোকাল গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে সমস্ত নথির সঙ্গে জমা দিতে হবে। একবার আবেদন পত্রটি যোগ্যতা বিচার করে যাচাই করা শেষ হলে আবেদনকারী নতুন উজালা যোজনার গ্যাস কানেকশন এর সংযোগ পেয়ে যাবেন। এই প্রকল্পটির অধীনে আবেদনকারীকে বিশেষ ভর্তুকি দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে।
FAQs:
- A) করা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারে ?
- দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবার নিয়ে প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারে।
- B) এই প্রকল্পের সুবিধা কি ?
- এই প্রকল্পের আওতায় আবেদনকারী ১৬০০ টাকায় নতুন গ্যাস সংযোগ পাচ্ছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া আছে।
- C) এই প্রকল্পের জন্য কি আধার কার্ডে মোবাইল লিঙ্ক থাকা অনিবার্য ?
- না, তবে আধার কার্ডে মোবাইল লিংক থাকলে কোন সমস্যা নেই।
- D) হেল্প লাইন নাম্বার ?
- 1906 (এলপিজি ইমার্জেন্সি হেল্পলাইন)
- 1800-233-3555 (টোল ফ্রি হেল্পলাইন)
- 1800-266-6696 (উজ্জ্বলা হেল্পলাইন)
আয়ুষ্মান ভারত : আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প হল গোটা বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প প্রকল্পটির মাধ্যমে প্রায় ৫০কোটি সুবিধা ভোগী মানুষদের ৫ লক্ষ টাকা করে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করে ক্রেন বিন্দ্রিয় সরকার। এই স্কিমটি 23শে সেপ্টেম্বর, 2018-এ ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বারা ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে চালু হয়েছিল। এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে বার্ষিক ৬ কোটি ভারতীয়দের দরিদ্র পরিবারগুলিকে অত্যাধুনিক চিকিৎসার খরচ কমানোর লক্ষ্যে।
এই প্রকল্পের সুবিধা : বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকার চিকিৎসা বীমা প্রকল্পগুলিতে শুধুমাত্র ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বীমা সাহায্য করে, কিন্তু আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে ভারত সরকার যোগ্য ব্যক্তিদেরকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বীমা প্রদান করে থাকে। ভারতের প্রতিটি পরিবার যারা আয়ুষ্মান ভারতের জন্য যোগ্য তারা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন। নিজে কিছু এই প্রকল্পের সুবিধা আলোচনা করা হলো-
- মেডিকেল পরীক্ষা, চিকিৎসা এবং পরামর্শ
- হাসপাতালে ভর্তির পরে 15 দিন পর্যন্ত ফলো-আপ যত্ন
- হাসপাতালে ভর্তির আগে খরচ
- স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার খরচ বহন করা
- মেডিসিন খরচ এবং চিকিৎসা কভার করা হয়
- মেডিকেল ইমপ্লান্টেশন পরিষেবা ও খাদ্য সেবা প্রধান করা
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
স্কিমের নাম | আয়ুষ্মান ভারত |
কাদের জন্য চালু করা হয়েছে | দরিদ্র পরিবারগুলির জন্য |
শুরুর তারিখ | 23 September TO18 |
বয়স সীমা | 16 থেকে 59 বছরের মধ্যে |
সরকারী ওয়েবসাইট | https://abdm.gov.in/ |
এই প্রকল্পের আওতায় গুরুতর রোগের নাম
এই প্রকল্পের আওতায় যে সমস্ত রোগের চিকিৎসা হয়, সেই সমস্ত রোগের নাম নিচে দেওয়া হল-
- ডাবল ভালভ প্রতিস্থাপন
- মূত্রথলির ক্যান্সার
- স্টেন্ট সহ ক্যারোটিড অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি
- করোনারি এবিজি
- পালমোনারি ভালভ প্রতিস্থাপন
- পূর্ববর্তী মেরুদণ্ড স্থিরকরণ
- স্কাল বেস সার্জারি
- ল্যারিনগোফ্যারিঞ্জেক্টমি
- পোড়া ক্ষেত্রে বিকৃতকরণের জন্য টিস্যু এক্সপান্ডার
এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আয়ুষ্মান কার্ড আবেদন করার জন্য আধার কার্ড গুরুপ্তপূণ্য নথি, কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন নিয়ম অনুযায়ী এই কার্ডের আবেদন করার জন্য বিভিন্ন নথি দরকার হতে পারে সেগুলি নিম্নেতালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
- রেশন কার্ড
- আয়ের শংসাপত্র
- আবাসিক শংসাপত্র, ইত্যাদি
কিভাবে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করবেন ?
আয়ুষ্মান কার্ড আবেদন করার জন্য এই কার্ডের লিস্টে আবেদনকারীর নাম থাকা অনিবার্য। নিম্নের বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে কাবেন।
- এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আয়ুষ্মান ভারত অফিসিয়ালি ওয়েবসাইটে (https://beneficiary.nha.gov.in) আপনাকে ভিজিট করতে হবে।
- এরপর আপনাকে মোবাইল নাম্বার ওটিপি দিয়ে লগ ইন করতে লাগবে।
- লগইন করা হয়ে গেলে রাজ্য স্কিমের নাম আইডি ফ্যামিলি আইডি লোকেশন বা আধার নম্বরের মতো বিবরণ দিয়ে আপনার নাম অনুস্ধান করুন।
- এরপর আপনি আপনার আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত আয়ুষ্মান কার্ডের তালিকা দেখতে পারবেন, যদি আপনার কাঠের তালিকায় নাম থাকে।
- একটি আয়ুষ্মান কার্ডের আবেদন করার জন্য আপনি অ্যাকশন বোতামে ক্লিক করুন, আপনার সামনে একটি নতুন পৃষ্ঠা ওপেন হবে সেখানে আদার ওটিপি ব্যবহার করে আপনার কি কেওয়াইসি সম্পূর্ণ করুন এবং সাম্প্রতিক একটি ছবি আপলোড করে দিন।
- এবার আপনার নিজের ডিটেলস পূরণ করুন এবং সাবমিট বোতামে ক্লিক করে এপ্লিকেশন জমা দিয়ে দিন।
- এরপর আপনার নাম খুঁজে পেলে ডাউনলোড বোতামে মে ক্লিক করুন।
- কার্ডটি ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে প্রমাণিকরণ করতে হবে এর জন্য আপনি আধার কার্ড অপশনটি সিলেক্ট করে ওটিপি ভেরিফিকেশন এর মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণিত করুন।
আপনি সমস্ত পদক্ষেপগুলি সঠিকভাবে পূরণ করলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার আয়ুষ্মান কার্ড জেনারেট হবে এবং আপনি সেটি ডাউনলোড করে নিজের কাছে রেখে দিতে পারবেন।
FAQs :
(A) এই কার্ডটি সবার জন্য যোগ্য?
- এই কাঠ সবার জন্য নয় শুধুমাত্র তাদের জন্যই যারা স্বাস্থ্য বীমার জন্য সত্যিই আত্মিক সাহায্যের প্রয়োজন ।
(B) এই প্রকল্পে আমি যোগ্য কিনা কিভাবে বিচার করব?
- আপনার যোগ্যতা যাচাই করনের জন্য আয়ুষ্মান ভারত অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে।
(C) এই প্রকৃতি আমার নাম থাকলে কিভাবে আবেদন করব?
- এই প্রকল্পে আপনার নাম থাকলে আপনি উপরে উক্ত পদক্ষেপগুলি অবলম্বন করে আবেদন করতে পারেন অথবা আপনার কাছাকাছি কমন সার্ভিস সেন্টার ভিজিট করে আপনি আবেদন করতে পারেন।
(D) হেল্প লাইন নাম্বার ?
- টোল-ফ্রি কল সেন্টার নম্বর -14555
বিশেষ দ্রষ্টব্য : আমাদের রাজ্যে (পশ্চিমবঙ্গে) এই কার্ডের অনুমোদন দেয়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই কার্ডের বিকল্প হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নতুন প্রকল্প স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এই রাজ্যে অনুমোদিত।